Saturday, November 12, 2011

এটাই কি সভ্য সমাজের শিক্ষা


এটাই কি সভ্য সমাজের শিক্ষা
আর কত দিন চলবে এভাবে নারী নির্যাতন ? যদি এ ছবিটির মতো সমাজের সবাই অনায় দর্শনে দাঁড়িয়ে থাকে , তবে এ সমস্ত ভন্ড মাতবর - সমাজপতিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কে ? সভ্য সমাজ কি এভাবেই অসভ্যদের অন্যায়ের অতলে তলিয়ে যেতে থাকবে ? এ সব অসভ্যতার বিরুদ্ধে সভ্য সমাজ তথা সুশীল সমাজের কি কিছুই করার নেই ? শিক্ষিত সমাজ কি এভাবেই অসভ্য কর্ম সমূহ সংঘটনে যোগান দিয়ে যাবে ? তবে কি ভাববো এটাই সভ্য সমাজের শিক্ষা ? 
যদি এই শালিসে ছবির নারীটির উপর ইসলামী আইন প্রয়োগ করে দোররা মারা হয় , তবে সেটা হবে সমাজপতিদের বিরাট অন্যায় । কারন দেশে কোন ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত নেই । ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা ব্যাতিত ইসলামী আইন দিয়ে বিচার কার্য পরিচালনা করা গ্রহণযোগ্য নহে , আর ইসলামী আইন ইসলামী আদালতের কাজি ব্যতিত কোন মাতবর বা সমাজপতি প্রয়োগ করতে পারেনা । বাংলাদেশে এমন কোন ইসলামী আদালত নেই , যেখানে কাজীর দরবারে বিচার কার্য পরিচালনা করা হয় । যারা উক্ত নারীটির উপর দোররা মারার হুকুম দিয়েছে , তারা দেশের আইন লঙ্গন করেছে । তাদের বিরুদ্ধে দেশীয় আইনে মামলা করা এলাকা বাসীর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি । 
=============================


Sunday, September 11, 2011

স্বামী কেরোসিন ঢালে শাশুড়ি আগুন দেয়


 'স্বামী কেরোসিন ঢালে শাশুড়ি আগুন দেয়' 

  সুত্র :   বাংলাদেশ প্রতিদিন ১২/০৮/২০১১ 



বছর দেড়েক আগে জয়দেবপুরে হানিফের সঙ্গেবিয়ে হয়
জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টির (২২) এখনদেড়  মাসের
অন্তঃসত্ত্বা অনাগত সন্তানের ভাবনায়তার সময় কাটার
কথা কিন্তু সময় কাটছে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার থেকে
বাঁচার আকুতির কথাচিন্তুা করে মূলত যৌতুকের দাবি
পূরণ করতে নাপারায় গতকাল ভোরে স্বামীসহ শ্বশুর 
বাড়ির লোকেরা তাকে হত্যা করতে গায়ে কেরোসিন 
ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কিন্তু  যাত্রায় জানে বেঁচে
গেছেন তিনি শতাংশ পুড়ে গেছে অবস্থা 
এখনো আশঙ্কাজনক। ঢাকা মেডিকেল 
কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে 
লড়ছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানানআগুনে তার
শরীরের ৪০ গতকাল দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের
বার্ন ইউনিটের ২১০ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১নম্বর শয্যায় কথা 
হয় বৃষ্টির সঙ্গে সারা শরীরে ব্যান্ডেজ জড়ানো যন্ত্রণায়
কাতরাচ্ছিলেন কিন্তু নড়াচড়াকরতে পাচ্ছিলেন না তাকে
এ অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করতেই হাউমাউ করে কেঁদে
ফেলেনকান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেনতার স্বামী মোহাম্মদ
হানিফ, শাশুড়ি আয়েশা  ভাসুর মুজিবুররহমান তাকে
 মারধর করে শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা
 করেকিন্তু প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করায় প্রাণে বেঁচে
 গেছেনবৃষ্টির অভিযোগবিয়ের পর থেকেই তার স্বামী
 ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য অত্যাচার শুরু

 করে
অত্যাচার সইতে না পেরে এর মধ্যে টাকাসহ সংসারের
 প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই নিয়ে আসেন বাবার কাছ
 থেকেযারআর্থিক মূল্য কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকা
  কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর সঙ্গে
 স্থানীয় এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে বিষয়টি
 জানাজানির পর তাদের দাম্পত্য কলহশুরু হয়
 পারিবারিকভাবে এ নিয়ে বসাবসিও হয় এক পর্যায়ে
 হানিফ বলেন, 'বিয়ের সময়তোমার (বৃষ্টিকেবাবা যা
 টাকা-পয়সা দিয়েছে তা খুব কম ওই মেয়েকে 
বিয়ে করলে অনেক টাকা পাব তবে তোমার বাবার কাছ
 থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিলে ওই মেয়ের সঙ্গে 
সম্পর্ক ছিন্ন করব প্রস্তাবে বৃষ্টি রাজি না হওয়ায়
 স্বামী শাশুড়ি আয়েশা বেগম ও ভাসুর মজিবুর রহমান
 তার ওপর অত্যাচার শুরু করেএমনকি কয়েক 
দিন ধরে চাপ দিচ্ছিল পেটেরসন্তানকে নষ্ট করার
 শুক্রবার ভোরে সেহরি খাওয়ার পর তারা সন্তানকে
 নষ্ট করার জন্য ফের চাপ দেয়  নিয়ে বাকবিতণ্ডার
 এক পর্যায়ে তারা তাকে (বৃষ্টিএকটি কক্ষে নিয়ে 
বেদম মারধর করেন এরপরই স্বামী হানিফ কেরোসিন
 নিয়ে এসে তার (বৃষ্টিগায়ে ঢালেন ও শাশুড়ি আগুন
 ধরিয়ে দেনবৃষ্টির চিৎকারে  সময় আশপাশের
 বাসিন্দারা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন 
 ঢামেক হাসপাতালে গতকাল বৃষ্টির চাচা লুৎফর রহমান
 জানান,তাদের বাড়ি চান্দুরায় এসএসসি পাস করার পর
 বৃষ্টিকে প্রায় দেড় বছর আগে হানিফের সঙ্গেবিয়ে দেওয়া
 হয় হানিফ বিয়ের আগে নিজেকে একটি বেসরকারি
 কোম্পানির ঊর্ধ্বতনকর্মকর্তা দাবি করেছিল পরে
 জানা যায় সে বেকার তিনি বিয়ের পর থেকেই 
টাকার জন্যবৃষ্টিকে মারধর করত। 
( ব্লগার কর্তৃক ঈষৎ সংক্ষেপিত )

========================================================== 

Wednesday, August 3, 2011

চুল কেটে নেয়ার পর গৃহবধূ ঘরছাড়া


চুল কেটে নেয়ার পর গৃহবধূ ঘরছাড়া
সুত্র : মানবজমিন , মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০১১
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
-------------------------------------------   



নির্যাতিত গৃহবধূর চুল কেটেই ক্ষান্ত হয়নি, সন্ত্রাসীরা 
উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। গত ২০শে 
জুলাই যশোর আদালতে চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীরা তার ও 
স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ এনে মামলা 
করে। এতেও সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হয়নি। তাদেরকে গ্রাম 
থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্বরতার শিকার ওই 
পরিবারটি এখন আশ্রয়নিয়েছে কেশবপুর বাজারের 
একটি ভাড়া বাসায়। পুলিশের অনৈতিক দাবি 
এবং সন্ত্রাসীদের তাড়া খাওয়া পরিবারটি এখন 
নিরাপত্তায় ভুগছে। নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জানায়,
বেশ কিছু বেসরকারি সংগঠনসহ অনেকে 
এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ভয় ও 
টাকার অভাবে কেউ ধরা দিচ্ছে না। মাথার চুল 
কাটার পর সামাজিকভাবে ভেঙে পড়েছি। 
কোথাও বের হতে পারছি না। আত্মহত্যা করা 
ছাড়া এখন কোন পথ খুঁজে পাচ্ছি না। চুল 
কাটার পর আমি কয়েকবার আত্মহত্যা করার 
চেষ্টা করেও ফুটফুটে দুই ছেলের দিকে তাকিয়ে 
ফিরে এসেছি। তারপরও মন মানছে না। বেশি 
বিপদে পড়েছি আমি মামলা করে। সন্ত্রাসীরা 
মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি 
দিচ্ছে। এমন কি মামলার আইও এসআই উজ্জ্বল 
আমাকে ভাল রিপোর্ট দেয়ার কথা বলে 
অনৈতিক কথা বলছে। আসামিদের সঙ্গে আঁতাত 
করে বান্ডেল বান্ডেল টাকা নিচ্ছে। আমরা গরিব 
মানুষ, টাকা নেই বলে আমাদের পাশে 
কেউ নেই। অভাবের সংসারে প্রায় সময় না 
খেয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে কষ্টে আছি। বড় 
ছেলেটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ছিল। এখন তাদের 
কোথায় পড়ালেখা করাবো? সন্ত্রাসীরা আমাকে তা 
করতে দিল না। মনে হয় আদালতে বিচার 
পাবো না। কারণ, টাকা নাই। টাকা ছাড়া দেশে 
বিচারও নাই। যদি থাকত, তাহলে সন্ত্রাসীরা 
আদালত থেকে জামিন নিয়ে মাদকদ্রব্য বিক্রির 
অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করতে পারত না। 
তাই আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম। উল্লেখ্য, 
উপজেলার সফরাবাদ গ্রামের রফিকুল 
ইসলামের স্ত্রী নূরনাহারকে এলাকার কতিপয় 
সন্ত্রাসী যুবক বিভিন্ন সময় নানাভাবে কুপ্রস্তাব 
দিয়ে আসছিল। নূরুন্নাহার প্রতিবাদ করলে তারা 
বেপরোয়া হয়ে উঠে। ১৮ই জুলাই বিকালে 
ওই গৃহবধূ কেশবপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে 
সন্ত্রাসীরা আবারও কুপ্রস্তাব দিলে তিনি তাদের 
প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে চরম প্রতিবাদ করলে 
সন্ত্রাসীরা তাকে রাস্তায় জাপটে ধরে 
শীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা 
তার মাথার চুল কেটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে উল্লাস 
করে। স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার 
সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি পেশায় 
একজন করিমন চালক। বাড়িতে ফিরে তিনি 
ঘটনা জেনে পৌর কাউন্সিলর মনোয়ারহোসেন 
মিন্টুকে জানান। ওই সময় সন্ত্রাসীরা স্বামী-স্ত্রী 
দু’জনকে পুনরায় মারপিট করে। ওই ঘটনায় 
গৃহবধূ নূরন্নাহার কেশবপুর থানায় বাদী হয়ে 
বখাটে সন্ত্রাসী লিটন, খলিল, আলম, আতিয়ার, 
সাত্তারের নামে কেশবপুর থানায় মামলা করেন, 
নং-০৯, তারিখ- ১৮/০৭/২০১১ইং। পৌর 
কাউন্সিলর মনোয়ার হোসেন মিন্টু জানান, তিনি 
ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সন্ত্রাসীরা 
ওই গৃহবধূর  মাথার চুল কেটে নিয়ে আগুন দিয়ে 
পুড়িয়ে দেয়।
******************************